তার নাম রুপা খাতুন। মেয়ে হলেও চলাফেরা করতেন পুরুষের বেশে। পোশাকও পড়তেন পুরুষের। নিজেকে পরিচয় দিতেন বিজিএমসির একজন কর্মকর্তা হিসাবে। রুপ নামে কিছু ভিডিও বানিয়ে টিকটকে আপলোড করে তরুণীদের মাঝে পেয়েছিলেন জনপ্রিয়তাও। সেই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তুলে রেখেছিলেন তাদের কিছু গোপন ছবি। গোপন খবর জেনে যাওয়ার পর তার সঙ্গ ত্যাগ করতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন অনেকে। টিকটকে এসব গোপন ছবি ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে রুপা তাদের বাধ্য করেছে তার সঙ্গে সমকামিতায় জড়াতে। ছেলে সেজে মেয়েদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে সমকামিতায় বাধ্য করা নাটোরের সেই আলোচিত নারীকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে নাটোর শহরের উপরবাজার এলাকার বাসা থেকে রুপা খাতুন ওরফে সুফিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) আব্দুল মতিন জানান, রুপা খাতুন তারই ছোট বোনের ননদ সাদিয়া ইসলাম মৌকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সমকামিতায় বাধ্য করে। এক পর্যায়ে গত ২১ আগস্ট মৌকে নিয়ে পালিয়ে যায় রুপা। তিন দিন পর মৌকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে রুপা। সেদিনই রুপার বাসায় মৌ এবং রুপা দু’জনকেই বিষ পান করা অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের স্বজনরা। উভয়কেই নেয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মারা যায় মৌ। সুস্থ হয়ে নিরুদ্দেশ হয় রুপা।
এ ঘটনায় মৌয়ের বাবা হত্যার অভিযোগ এনে সুফিয়া বেগম রুপাসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, রুপাকে গ্রেপ্তারের পরই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রুপার বাবা রুবেল হোসেন জানান, তিনি তার মেয়ের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত নন।